Wellcome to National Portal

১ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ হতে ৩০ জুন  ২০২৪ খ্রিঃ পর্যন্ত মোট আট মাস দেশব্যাপী (২৫ সেঃমিঃ আকারের চেয়ে ছোট ইলিশ) জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ,  ক্রয়- বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।-মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ।  জাটকা রক্ষায় সকলকে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
খাঁচায় তেলাপিয়ার চাষ
বিস্তারিত

মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পাড়ে অবস্থিত ছোট্ট একটি জেলে পলস্নী । নাম তার পশ্চিম বাইশপুর। যেখানে বসবাস করছে ১৭০টি হত দরিদ্র জেলে পরিবার। উদোম শরীরে এক চিলতে  কাপড় পড়ে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যমত্ম উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে জীবনবাজী রেখে যেকোন মুহুর্তে মৃত্যু হতে পারে তা জেনেও নদীতে মাছ  বিশেষতঃ ইলিশ আহরণই তাদের একমাত্র পেশা। শুধু পেশা বললে ভূল হবে , জন্ম জন্মামত্মরে বংশ পরম্পরায় এ কাজ করতে করতে তাদের এ পেশা যেন নেশায় পরিণত হয়েছে। কালের পরিক্রমায় নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ কারেন্ট জাল দ্বারা জাটকা আহরণের ওপর যখন সারা দেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে , এমনকি জেলা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বার বার অভিযান পরিচালনা করে তাদের মাছ আহরণের একমাত্র সম্বল জালটি পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হচ্ছে তার পরেও তারা অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ আহরণ থেকে সরে আসেনি। জাটকা রÿা কল্পে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জাটকা সংরÿণ,জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে মার্চ-এপ্রিল মাসে সম্পূর্ন এবং নবেম্বর-মে পর্যমত্ম জাটকা ধরার কাজে বিরত থাকার জন্য হত দরিদ্র জাটকা  ও ইলিশ আহরণকারী জেলেদের বিকল্প পেশায় নিয়োজিত রাখার প্রয়াসে বিভিন্ন ট্রেড যেমন - সেলাই মেশিন, হাঁসমুরগী ও গরম্ন- ছাগল পালন, ভ্যান গাড়ী ইত্যাদি আয় বর্ধক উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু কোনটাই তাদের পেশা পরিবর্তনে ততবেশী ভূমিকা রাখতে পারেনি। ২০১০-১১ অর্থ বছরে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে এই প্রথম জেলেদের দ্বারা মাছ উৎপাদন কার্যক্রম শুরম্ন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পাইওনিয়ার হিসেবে মতলব দÿÿণ উপজেলার পশ্চিম বাইশ পুর গ্রামের  ৪০টি জেলে পরিবারের মাঝে  ১০টি খাঁচা এবং মাছের পোনা ও খাদ্যোপকরণ প্রদান করা হয়। প্রায় ০৪ মাস ধরে উপজেলা মৎস্য দপ্তর ,মতলব দÿÿণ এর নিবিড় তত্বাবধানে এবং সেই সব জেলেদের অক্লামত্ম পরিশ্রমে ভাসমান খাঁচায় যেন সোনা ফলেছে। প্রতিটি ১০ ফুট x ২০ ফুট খাঁচায় ৭০০- ৮০০ টি ২০০-২৫০ গ্রাম ওজনের মাছ কিলবিল করছে। যা দেখে হত দরিদ্র লোকগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে। পুরো জেলে পাড়ায় বইছে আনন্দের বন্যা। বাপ দাদার আকড়ে ধরা পেশা মাছ আহরণ ছেড়ে তারা আজ মাছ পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের তিনজন সহকর্মী , মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক , প্রকল্পের পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহোদয় বিভিন্ন সময় খাঁচায় মাছ চাষ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন এবং জেলেদের কর্মদ্দ্যোমকে সাধুবাদ জানিয়ে এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সর্বপ্রকার সহোযোগীতার আশ্বাসও প্রদান করেছেন। বর্তমানে তারা স্বউদ্যোগে চলতি ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি দুইটি খাঁচায় রেণুপোনা লালন পালন করার প্রস্ত্ততি নিয়েছে। এ কাজে নিয়োজিত হওয়ার ফলে তারা এখন খাঁচা পরিচর্যা , খাদ্য প্রদান, মাছ গ্রেডিং, রোগবালাই দমন সহ যাবতীয়  কর্মকান্ড দÿতার সাথে পরিচালনা করছে। তাদের এ আগ্রহ ধরে রাখার জন্য প্রকল্পের সাহায্য ও সহযোগীতা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন যা জাটকা রÿা কল্পে এবং জেলেদের পেশা পরিবর্তনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যাচ্ছে।